![]() |
খলিফা উমর ইবনে আবদুল আযীযের মহানুভবতা - Caliph Umar ibn Abd al-Aziz |
খলিফা উমরইবনে আবদুল আযীযের মহানুভবতা
হযরত উমর
ইবনে আবদুল আযীয ইসলামের দ্বিতীয় উমর হিসেবে পরিচিত। তার শাসনামল ছিল হযরত উমর (রা)-এর
মতো সমৃদ্ধ। তখনও মানুষ খোলাফায়ে রাশেদার যুগের মতো নিরাপদে ছিল। দেশজুড়ে ছিল অনাবিল
সুখ ও শান্তির পরিবেশ। আবদুল আযীয খলিফা হবার পর সমরকন্দের এক প্রতিনিধিদল তাঁর কাছে
এলো। তারা অভিযোগ করল, সেখানকার মুসলিম
বাহিনীর অধিনায়ক এলাকার একটি শহর অতর্কিত হামলা চালিয়ে দখল করে নিয়েছে। সেখানে তারা
জোরপূর্বক মুসলমানদের বসতি গড়ে তুলছে।
খলিফা আবদুল
আযীয ঘটনা শুনে সমরকন্দের গভর্নরকে এক ফরমান পাঠালেন। তিনি
প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করার আদেশ দিলেন। তিনি লিখলেন যে, একজন বিচারক দ্বারা ঘটনার তদন্ত
চালাতে হবে। বিচারক যদি বলেন সেখানে থেকে মুসলমানদের বেরিয়ে যাওয়া উচিত, তা হলে তৎক্ষণাৎ
শহর খালি করে দিতে হবে।।
খলিফার
নির্দেশ মোতাবেক একজন বিচারক অভিযোগ
তদন্ত করলেন। তিনি তার রায়ে মুসলমানদের শহর ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত বলে সুপারিশ করলেন।
তার বক্তব্য ছিল, শহর আক্রমণের আগে মুসলিম সেনাদের উচিত ছিল আগেই শহরবাসীকে সতর্ক করা
এবং ইসলামী যুদ্ধবিধি অনুসারে তাদের সাথে কার্যকর সকল
চুক্তি বাতিল করা। এতে শহরবাসী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারত। তা না করে, শহরবাসীর
ওপর অতর্কিত আক্রমণ উচিত হয়নি। সমরকন্দবাসী মুসলিম বিচারকের এ রায় শুনে হতবাক হলো।
ইসলামী সরকারের ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের সৌন্দর্য দেখে তারা যারপরনাই মুগ্ধ হল।
তাই জনগণ ভাবল, এ ধরনের লোকদের সাথে যুদ্ধ করা নিরর্থক। বরং এ ধরনের
ইসলামী শাসনে থেকে বেঁচে থাকাও উত্তম। তাই তারা এই এলাকায় মুসলমানদের আবাসন সানন্দে
মেনে নিল।
No comments:
Post a Comment