![]() |
ঋণশোধ - মজার গল্প – হাসির গল্প – ছোট গল্প |
ঋণশোধ - মজার গল্প – হাসির গল্প – ছোট গল্প
একজন
লোক অন্য একজন লোকের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিল। কথা ছিল সে টাকাটা
তাড়াতাড়িই পরিশোধ করে দেবে। যে ধার দিয়েছিল তার ধারণা ছিল মাস তিনেকের মধ্যে হয়ত
সে তার টাকা ফেরত পাবে। সেই মত ভদ্রতা করে আগেই আর কোন তাগাদা করেনি।
কিন্তু
তিন মাস চলে যাবার পর সে খাতুককে বললঃ কৈ ভাই, আমার টাকাটা ফেরত দাও। ধার
নেয়ার সময় ফেরত দেয়ার তারিখ নির্দিষ্ট করা হয় নাই---তবে তুমি
তো কিছুটা এই রকমই বলেছিলে যে ইনশাআল্লাহ বেশি দেরি হবে না- মাস
তিনেকের মধ্যে হাওলাতি টাকা শোধ করে দেব।
ঋণকারীঃ
তা বলেছিলাম, কিন্তু তায়দাদ (হিসাব বা সংখ্যার হিসাব) করে দেখলাম জবান
রাখন যাইব না। আমার বড় টানাটানি
চলছে। হাত একেবারে খালি। তবে চিন্তা কইরেন না। ট্যাকা দিমু-দুই দিন আগে আর পরে।
আরো
তিনি মাস চলে গেলে ঋণদাতা চিন্তায় পড়ে। টাকার জন্য জোর তাগিদ দেয়। কিন্তু তাতে কাজ
হয় না। খাতক গাইগুই করে, বলেঃ দিমু, তোমার ট্যাকা
মাইরা খামু না—আর ঘরবাড়ি ভাইঙ্গা লইয়া পলাইয়াও যামু না। অত অস্থির অও ক্যা?
ঋণদাতা
মনে মনে বলেঃ ভারি পিচলা লোকের পাল্লায় পড়েছি। ট্যাকা ধার নিয়া অহন যেভাবে আইজ
না কাইল করতেছে তাতে কপালে ভোগান্তি আছে।
ঠিক
এক বছর পরের ঘটনা। ঋণদাতা ঠিক করেছে, আজ টাকা আদায় না করে ছাড়বে
না। তাই খুব ভোরবেলা খাতকের বাড়িতে যেয়ে হাঁক দিয়েছে, কৈরে
ফইজুদ্দী, টাকার জন্য আইছি। আইজ আর খালি হাতে ফিরুম না। ট্যাকা
না লইয়া যাইতেছি না!
খাতক
বলেঃ বারিন্দায় বহেন—আইতাছি। ব্যবস্থা একটা অইবে।
কিছুক্ষণ
খুটখাট শব্দ করে গামছায় বাঁধা একটা পোটলা নিয়ে সে বেরিয়ে আসে। ঋণদাতাকে বলেঃ বাড়ির
বাইরে চলেন।
ঋণদাতা
বাড়ির বাইরের দিকে আসে। খাতক সেখানে এক কোণে গামছার পোটলা খুলে ফেলে। ফলে ঝরঝর করে
কিছু তেঁতুল বিচি কোপানো মাটিতে পড়ে।
ঋণগ্রহীতা
বলেঃ নেন। আর চিন্তা নাই তেঁতুইল বিচি বুনলাম। গাছ অইলে বেইচ্যা পরথমেই আপনের ঋণ শোধ করুম।
No comments:
Post a Comment