![]() |
অনুবাদ গল্প - টবারমোরি – সাকি – Tobermory – Saki (Hector Hugh Munro) – Bengali Translation |
অনুবাদ
গল্প
- টবারমোরি
– সাকি
– Tobermory
– Saki (Hector Hugh Munro) – Bengali Translation
আগস্টের
শেষাশেষি,
বৃষ্টিস্নাত,
ঠাণ্ডা
এক
বিকেল।
লেডি
ব্লেমলি
(Lady Blemley)
অতিথিদের
নিয়ে
বসে
রয়েছেন
চায়ের
টেবিলে।
হাঁ
করে
সবাই
মি.
কর্নেলিয়াস
অ্যাপিনের
(Mr. Cornelius Appin)
কথা
গিলছেন।
ভদ্রলোক
লেডি
ব্লেমলির
মেহমান
হওয়া
সত্ত্বেও,
ভাল
মত
তাঁকে
চেনেন
না
তিনি।
ব্লেমলি
হাউজে
তাকে
থাকতে
আমন্ত্রণ
জানানোর
একটাই
কারণ,
লোক
মুখে
জেনেছেন
ভদ্রলোক
নাকি
বেশ
চালাক-চতুর।
কিন্তু
বিকেলে
চায়ের
সময়
এসে
গেছে,
এখন
অবধি
বুদ্ধিমত্তার
ছিটেফোঁটাও
দেখতে
পাননি
লেডি
ব্লেমলি।
ভদ্রলোক
টেনিস
খেলেন
না,
গান
গাইতে
জানেন
না,
এমনকী
তার
বাকচাতুরিরও
প্রমাণ
পাওয়া
যায়নি।
কিন্তু
এ
মুহূর্তে
মি.
অ্যাপিন
এমনই
অত্যাশ্চর্য
এক
আবিষ্কারের
কাহিনী
ফেঁদেছেন,
অতিথিরা
পরম
আগ্রহে
শুনছেন।
‘আপনি
জন্তু-জানোয়ারকে
দিয়ে
কথা
বলাতে
পারেন
বলতে
চাইছেন?’ স্যার উইলফ্রিড
(Sir Wilfrid )
প্রশ্ন
করলেন।
‘আর
আমাদের
পোষা
বেড়াল
টবারমোরি
(Tobermory) আপনার প্রথম
সাফল্য?’
‘সতেরো
বছর
ধরে
এ
বিষয়ে
গবেষণা
করছি
আমি,’ বললেন মি.
অ্যাপিন।
‘কিন্তু
সাফল্য
পেয়েছি
এই
অল্প
কিছুদিন
হলো। হ্যা, হাজারো
জন্তু-জানোয়ার
নিয়ে
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
করেছি
বটে,
কিন্তু
ইদানীং
কাজ
করছি
শুধুমাত্র
বেড়ালদের
নিয়ে।
বেড়াল
নিঃসন্দেহে
বুনো
জানোয়ার,
যদিও
সহজেই
পোষ
মানে।
সব
বেড়ালই
বুদ্ধিমান,
কিন্তু
কিছু
কিছু
আছে
অসম্ভব
মেধাবী।
এক
সপ্তাহ
আগে
টবারমারিকে
প্রথম
যখন
দেখি,
সাথে
সাথে
বুঝে
যাই
এ
কোনও
সাধারণ
বেড়াল
নয়।.ও
সত্যিই
আমার
ছাত্র
হওয়ার
উপযুক্ত।
এবং
ও
সেটা
প্রমাণও
করে
দিয়েছে।
কেউ
হেসে
উঠলেন
না,
কেউ
বললেন
না
ফালতু
কথা,
ক্লভিসের
(Clovis's) ঠোট
যদিও
নড়ে
উঠল
নিঃশব্দে...
‘টবারমোরি
সহজ
সহজ
কথা
বলতে
আর
বুঝতে
পারবে
দাবি
করছেন?
জানতে
চান
মিস
রেসকার
(Miss Resker)।
‘আমরা,
মিস
রেসকার,’ ধৈর্য সহকারে
বললেন
মি.
অ্যাপিন,
‘ছোট
বাচ্চাদের
আর
নির্বোধ
বয়স্কদের
ওভাবে
শেখাতে
চেষ্টা
করি।
কিন্তু
টবারমোরির
কথা
আলাদা,
ও
অসম্ভব
বুদ্ধিমান
এক
বেড়াল।
ও
আপনার
আমার
মতই
সাবলীল
ইংরেজি
বলতে
পারে।’
‘ফালতু
কথা!’
জোর
গলায়
এবার
বলে
উঠল
ক্লভিস।
স্যর
উইলফ্রিড
ভদ্রতা
বজায়
রাখলেও,
স্পষ্ট
বোঝা
গেল
গল্পটা
তিনিও
বিশ্বাস
করেননি।
‘বেড়ালটাকে
এখানে
ডেকে
এনে
দেখলেই
তো
হয়,
প্রস্তাব
করলেন
লেডি
ব্লেমলি।
টবারমোরির
খোঁজে
গেলেন
স্যার
উইলফ্রিড।
‘মি.
অ্যাপিন
আমাদের
ধোকা
দিতে
চেষ্টা
করবেন,’ সহাস্যে বললেন
মিস
রেসকার।
‘কিন্তু
তার
দিকে
নজর
রাখলে
দেখা
যাবে,
ঠোট
নড়ছে।’
এক
মিনিট
বাদে
ফিরে
এলেন
স্যার
উইলফ্রিড,
ভয়ানক
উত্তেজিত।
‘উনি
ঠিকই
বলেছেন!’ বলে উঠলেন।
স্মোকিং-রূমে
ঘুমাচ্ছিল
টবারমোরি,
ওকে
চা
খেতে
ডাকলাম।
মাথা
তুলে
একটা
চোখ
খুলল।
“আয়,
টবি;
তোর
জন্যে
সবাই
বসে
আছে,”
বললাম
আমি।
ও
ঠাণ্ডা
গলায়
বলে
কী,
“যখন
সময়
হবে
নিজেই
আসব!”
আমি
তো
থ।
অতিথিরা
মুহূর্তে
তর্কাতর্কি
বাধিয়ে
দিলেন,
আর
মি.
অ্যাপিন
মুচকি
মুচকি
হাসতে
লাগলেন।
এবার
স্বয়ং
টবারমোরি
কামরায়
প্রবেশ
করে,
চায়ের
টেবিলের
কাছে
শান্ত
পদক্ষেপে
এগিয়ে
এল।
থেমে
গেল
আলোচনা।
কথা
বলিয়ে
বেড়ালের
উদ্দেশে
কী
বলবেন
ভেবে
পাচ্ছেন
না
কেউ।
অবশেষে
মুখ
খুললেন
লেডি
ব্লেমলি:
দুধ
খাবি,
টবারমোরি?
চড়া
আর
অস্বাভবিক
শোনাল
তার
কণ্ঠস্বর।
‘মন্দ
হয়
না,’ জবাব দেয়
টহারমোরি।
লেডি
ব্লেমলির
হাতে
এমনই
কাঁপুনি
উঠল,
খানিকটা
দুধ
ছলকে
পড়ে
গেল
কার্পেটে।
‘ওহ
হো!
আমি
দুঃখিত,’ বললেন তিনি।
‘অসুবিধা
নেই।
কার্পেটটা
কী
আমার
নাকি?’' বলে টবারমোরি।
আবার
নিস্তব্ধতা
ঘনাল
কামরার
ভিতর,
শেষমেশ
মিস
রেসকার
বিনীত
সুরে
জানতে
চাইলেন,
ইংরেজি
শিখতে
তোমার
কষ্ট
হয়নি
তো,
টবারমোরি?
বেড়ালটার
উজ্জ্বল
সবুজ
চোখজোড়া
বিদ্ধ
করল
মহিলাকে।
আগ্রহ
জাগায়
না,
এমন
প্রশ্নের
জবাব
দেয়
না
সে।
মানুষের
বুদ্ধিবৃত্তি
সম্পর্কে
তোমার
কী
ধারণা?
এবার
মেভিস
পেলিংটন
জানতে
চান।
কার
বুদ্ধিবৃত্তিঃ
শীতল
কণ্ঠে
পাল্টা
প্রশ্ন
করে
টবারমোরি।
‘এই
ধরো,
আমারই,'
অল্প
হেসে
বললেন
মেভিস।
‘বিপদে
ফেলে
দিলেন,
গম্ভীর
চালে
বলল
টবারমোরি,
যদিও
তাকে
এতটুকু
বিব্রত
মনে
হলো
না।
লেডি
ব্লেমলি
আপনাকে
দাওয়াত
দিতে
চাওয়ায়,
স্যার
উইলফ্রিড
মোটেও
খুশি
হননি।
“মেভিস
পেলিংটন
একটা
বোকার
হদ্দ,”
বলেন
তিনি।
“আরে
সেজন্যেই
তো
ডাকতে
চাইছি,”
জবাব
দেন
লেডি
ব্লেমলি।
“আমার
পুরানো
গাড়িটা
গছাতে
হবে
না?”
“মিথ্যে
কথা।”
চেঁচিয়ে
ওঠেন
লেডি
ব্লেমলি।
“এই,
মেভিস,
ওর
কথা
বিশ্বাস
কোরো
না,
ভাই।”
‘মিথ্যেই
যদি
হবে,’ হিম কণ্ঠে
বলেন
মেভিস,
‘তা হলে
আজ
সকালে
গাড়িটার
অত
প্রশংসা
করছিলে
কেন?’
নিমন্ত্রণকত্রী
জবাব
খুঁজে
পান
না।
মেজর
বারফিল্ড
(Major Barfield)
যথাসাধ্য
চেষ্টা
করলেন
প্রসঙ্গ
পাল্টাতে।
তোমার
সাদা-কালো
বান্ধবীটার
কথা
বলো,
টবারমোরি। কেমন
চলছে
ওর
সাথে?
সবাই
তৎক্ষণাৎ
উপলব্ধি
করলেন,
মারাত্মক
ভুল
করে
ফেলেছেন
মেজর।
বরফশীতল
চাহনি
হানল
ওঁর
উদ্দেশে
টবারমোরি।
‘ভদ্র
সমাজে
আমরা
সাধারণত
এসব
বিষয়ে
আলোচনা
করি
না,’ বলল। ‘অবশ্য
আপনি
এ
বাড়িতে
আসার
পর
থেকে
কিছু
কিছু
ব্যাপার
আমার
চোখে
পড়েছে।
কী,
বলব
আপনার
বান্ধবীদের
কথা?’
মেজরের
মুখের
চেহারা
মুহূর্তে
গনগনে
লাল,
অন্যান্য
মেহমানদের
চোখে-মুখেও
উদ্বেগ
আর
অস্বস্তি
দেখা
গেল।
টবারমোরি
এরপর
কোন্
প্রসঙ্গ
টেনে
আনবে
কে
জানে।
‘টবারমোরি,
তুই
না
হয়
এখন
রান্নাঘরে
যা,
মধু
ঝরালেন
লেডি
ব্লেমলি।
দেখগে,
বাবুর্চি
তোর
ডিনার
রেডি
করল
কিনা।’
‘ধন্যবাদ,
তার
দরকার
হবে
না,’' বলল টবারমোরি।
‘এইমাত্র
চা
খেয়েছি।
বেশি
খেয়ে
শেষে
মরব
নাকি?’
‘বেড়ালের
নয়টা
জান,
জানিস
না?’ হেসে বললেন
স্যার
উইলফ্রিড।
‘হয়তো,’ উন্নাসিক কষ্ঠে
বলে
টবারমোরি। ‘কিন্তু
পেট
একটা।'
‘লেডি
ব্লেমলি
(Adelaide)!’ চেঁচিয়ে ওঠেন
মিসেস
করনেট,
‘নচ্ছাড় বেড়ালটাকে
রান্নাঘরে
যেতে
দেবেন
না।
ও
বাবুর্চিকে
আমাদের
সব
কথা
বলে
দেবে!’
ভয়ে
বুক
দুরুদুরু
করতে
লাগল
সবার।
সবাই
ঢোক
গিলে
ভাবছেন,
বেড়ালটা
দিন-রাত
বাড়ির
ভিতর
আর
বাগানে
স্বাধীনতাবে
ঘুরঘুর
করে
বেড়িয়েছে,
মন
চাইলেই
এর-ওর
বেডরূমে
উকিঝুকি
মেরেছে।
কী
দেখতে
কী
দেখে
ফেলেছে
কে
জানে
বাবা।
কী
শুনেছে
তাই
বা
কে
বলতে
পারে।
এখন
আর
কারও
কোনও
গোপনীয়তা
রইল
না।’
‘ওহ,
কেন
যে
মরতে
এসেছিলাম
এখানে?’ হাহাকার করে
ওঠেন
মিস
অ্যাগনেস
রেসকার,
দীর্ঘক্ষণ
চুপ
করে
থাকা
তাঁর
ধাতে
নেই।
‘কেন
এসেছেন
ভাল
করেই
জানেন,’ ফট করে
জবাব
দেয়
টবারমোরি।
‘খাওয়ার
লোভে।
বাগানে
যখন
মিসেস
করনেটের
সাথে
গল্প
করছিলেন
আমি
সব
শুনে
ফেলেছি।
আপনি
বলছিলেন,
ব্লেমলিরা
স্বামী-স্ত্রী
ভয়ানক
বিরক্তিকর
মানুষ,
কিন্তু
তাদের
বাবুর্চিটা
খাসা।’
‘ওর
কথা
বিশ্বাস
করবেন
না!’ চেঁচিয়ে ওঠেন
অ্যাগনেস।
‘আমি
কক্ষনো
ও
কথা
বলিনি,
কী,
বলেছি,
মিসেস
করনেট?’
‘পরে,
মিসেস
করনেট
(Mrs. Cornett)
আপনার
কথাগুলো
বার্টি
ফন
তাহনের
(Bertie van Tahn)
কাছে
পুনরাবৃত্তি
করেন,
বলে
টবারমোরি।
তিনি
বলেন,
“চার
বেলা
মজার
মজার
খেতে
পেলে
ওই
রেসকার
মেয়েলোকটার
নরকে
যেতেও
আপত্তি
নেই
(Hunger Marcher)।”
আর
বার্টি
বলেন----’
ঠিক
এমনি
সময়
জানালা
পথে
বাগানে
দৃষ্টি
প্রসারিত
হয়
টবারমোরির।
ডাক্তারের
হলদে
হুলোটা
বাগান
পার
হচ্ছে।
মুহূর্তে
খোলা
জানালা
গলে
বেরিয়ে
পড়ে
ও।
আর
এই
সুযোগে
অতিথিরা
একযোগে
মুখ
খোলেন।
সবার
ক্ষোভের
লক্ষ্যবস্তুতে
পরিণত
হলেন
মি.
অ্যাপিন।
ঝাঁঝাল
প্রশ্নবাণে
জর্জরিত
করা
হলো
তাকে।
‘এক্ষুণি
সব
বন্ধ
করুন,
সবার
এক
কথা।’
‘টবারমোরি
অন্যান্য
বেড়ালদের
কথা
বলতে
শেখালে
কী
অবস্থাটা
হবে
ভেবে
দেখেছেন?
এক
মুহূর্তের
জন্যেও
শান্তি
পাব
কেউ?’
‘মালির
সাদা-কালো
বেড়ালটাকে
সম্ভবত
শেখানো
হয়েও
গেছে,
চিন্তামগ্ন
হন
মি.
অ্যাপিন।
কিন্তু
অন্যগুলোকে
শেখানোর
মত
সময়
পেয়েছে
বলে
মনে
হয়
না।’
‘সেক্ষেত্রে,'
বললেন
মিসেস
করনেট,
যত
বুদ্ধিমানই
হোক
না
কেন,
টবারমোরি
আর
ওর
বান্ধবীকে
মরতে
হবে।
আপনি
কী
বলেন,
লেডি
রেমলি?’
‘হ্যা,
ঠিকই
তো,’ সায় দিয়ে
বললেন
লেডি
ব্লেমলি।
‘টবারমোরিকে
আমরা
ভীষণ
ভালবাসি-মানে,
বিকেলের
আগ
পর্যন্ত
বাসতাম
আর
কি-কিন্তু
এখন,
যত
শীঘ্রি
সম্ভব
ওটাকে
নিকেশ
করতে
হবে।’
‘ওর
খাবারে
বিষ
মিশিয়ে
দেব,’ বললেন স্যার
উইফ্রিড,
‘আর
মালির
বেড়ালটাকে
আমি
নিজের
হাতে
খুন
করব।
মালি
অবশ্য
ঘ্যান
ঘ্যান
করবে,
কিন্তু
বুঝিয়ে
বলতে
হবে
ওটার
মারাত্মক
ছোঁয়াচে
রোগ
আছে----’
‘কিন্তু
আমার
আবিষ্কারের
কী
হবে?,’ হায় হায়
করে
ওঠেন
মি.
অ্যাপিন।
‘আমার
এত
বছরের
সাধনা!
আমার
একমাত্র
সফল
ছাত্রটাও
আপনাদের
কারণে
প্রাণ
হারাবে?’
‘গরুর
খামারে
গিয়ে
ওদেকে
শেখান
না,
কে
মানা
করেছে,’ ঠাণ্ডা সুরে
বলেন
মিসেস
করনেট।
‘কিংবা
চিড়িয়াখানার
হাতিদের।
আমি
শুনেছি,
হাতি
খুবই
চালাক
প্রাণী,
আর
তারা
চেয়ারের
পিছনে,
খাটের
নীচে
লুকিয়ে
থেকে
লোকের
কথাও
শুনতে
আসে
না।’
মি.অ্যাপিন
হাড়ে
হাড়ে
টের
পেলেন,
তিনি
কোথায়
মার
খেয়ে
গেছেন।
সে
রাতে
আর
ডিনার-পর্ব
জমল
না।
মালির
বেড়াল
এবং
পরে
মালিকে
সামলাতে
রীতিমত
বেগ
পেতে
হলো
স্যার
উইলফ্রিডকে।
অ্যাগনেস
রেসকার,
হাজার
সাধাসাধির
পরও,
কিছুই
মুখে
দিলেন
না।
আর
মেভিস
পেলিংটন
নীরবে
খাওয়া
সারলেন।
সবাই
টবারমোরির
জন্যে
অপেক্ষা
করছেন।
ডাইনিংরূমে
থালা
ভর্তি
বিষ
মিশানো
মাছ
তৈরি
আছে,
ও
এলেই
পরিবেশন
করা
হবে।
কিন্তু
পরম
আকাঙ্ক্ষিত
অতিথিটির
আসার
নাম
নেই।
মেহমানদের
মুখে
কথা
নেই,
হাসি
নেই।
দম
বন্ধ
পরিবেশ।
ডিনারের
পর,
অতিথিদের
নিয়ে
ব্লেমলি
দম্পতি
স্মোকিং-রূমে
এসে
বসলেন।
সবাই
চুপচাপ
আর
উৎকণ্ঠিত,
কেউ
তাস
পেটাতে
আগ্রহী
নন।
এগারোটার
দিকে
বাবুর্চি
ও
হাউজকীপার
শুতে
গেল।
টবারমোরির
জন্যে
যথারীতি
খোলা
রাখা
হয়েছে
জানালা,
কিন্তু
তার
দেখা
নেই।
দুটোর
দিকে
ক্লভিস
নীরবতা
ভঙ্গ
করল।
‘ও
আজ
রাতে
আর
ফিরবে
না। দেখুনগে, খবরের
কাগজে
ওর
স্টোরি
ফেরি
করে
বেড়াচ্ছে।
সাংবাদিকরা
লুফে
নেবে।
এমন
চাঞ্চল্যকর
ঘটনা
লাখে
একটা
মেলে
না।’
এরপর
সবাই
শুতে
গেলেন,
কিন্তু
কারও
চোখে
ঘুম
নেই।
সকাল
হলো,
তবু
টবারমোরি
এল
না।
নাস্তা-পর্বও
নীরবে,
অস্বস্তির
সঙ্গে
সারা
হলো। অবশেষে
কফি
পান
চলছে,
এমনিসময়
টবারমোরির
রক্তাক্ত
দেহটা
নিয়ে
কামরায়
প্রবেশ
করল
মালি।
‘থাবাগুলো
দেখেছেন!’ বলে ওঠে
ক্লভিস। ‘মারামারি
করছিল!
টবারমোরির
নখরে,
ডাক্তারের
হুলোটার
হলদে
লোম
লেগে
রয়েছে।’
লাঞ্চ
নাগাদ
অতিথিদের
বেশিরভাগ
ব্লেমলি
হাউজ
ত্যাগ
করলেন।
লেডি
ব্লেমলির
মনে
শান্তি
ফিরে
এল। কাগজ-কলম
টেনে
নিলেন
তিনি।
তাঁর
মহামূল্যবান
বেড়ালটির
মৃত্যুতে,
কড়া
করে
এক
চিঠি
লিখে
ফেললেন
ডাক্তারের
উদ্দেশে।
টবারমোরি
ছিল
মি.
অ্যাপিনের
একমাত্র
সফল
শিষ্য।
ওর
মৃত্যুর
কয়েক
সপ্তাহ
পর,
ড্রেসডেন
চিড়িয়াখানা
থেকে
এক
হাতি
পালাল।
তার
আক্রমণে
মারা
পড়লেন
এক
ইংরেজ
দর্শনার্থী।
চিড়িয়াখানা-রক্ষকের
ভাষা
থেকে
জানা
গেল,
আগে
অতি
শান্ত-শিষ্ট,
নিরীহ
ছিল
জানোয়ারটা।
কিন্তু
ইংরেজ
দর্শকটির
ওপর
হঠাৎই
খেপে
ওঠে,
ভদ্রলোক
কী
সব
কথা
যেন
বলছিলেন
হাতিটার
সাথে।
খবরের
কাগজে
দর্শকটির
নাম
বেরিয়েছে।
মি.
কর্নেলিয়াস
অ্যাপিন।
‘হাতি
বেচারীকে
কঠিন
কঠিন
জার্মান
ক্রিয়াপদ
শেখাতে
গেলে,’ মন্তব্য করল
ক্লভিস,
‘এমন তো
হবেই।’
মুল: সাকি
ওরফে
হেক্টর
হিউগ
মুনরো
(Hector Hugh Munro, otherwise known as Saki)
রূপান্তর: কাজী
শাহনুর
হোসেন
- - - - - - - -
- - - - - - - - - - - - - - - - - - -
(২০)
পরে যখন
সবাই সেখানে
পৌঁছে যাবে
তখন তাদের
কান,
তাদের চোখ
এবং তাদের
দেহের চামড়া
তারা পৃথিবীতে
কি করতো
সে সম্পর্কে
তাদের বিরুদ্ধে
সাক্ষ্য দেবে
(২১) তারা
তাদের শরীরের
চামড়াসমূহকে বলবে, তোমরা
আমাদের বিরুদ্ধে
সাক্ষ্য দিলে
কেন?
তারা জবাব
দেবে,
সেই আল্লাহই
আমাদের বাকশক্তি
দান করেছেন
যিনি প্রতিটি
বস্তুকে বাকশক্তি
দান করেছেন।
তিনিই তোমাদেরকে
প্রথমবার সৃষ্টি
করেছিলেন। আর
এখন তোমাদেরকে
তাঁর কাছেই
ফিরিয়ে নিয়ে
যাওয়া হচ্ছে
(২২) পৃথিবীতে
অপরাধ করার
সময় তোমরা
গোপন করতে
তখন তোমরা
চিন্তাও করোনি
যে,
তোমাদের নিজেদের
কান,
তোমাদের চোখ
এবং তোমাদের
দেহের চামড়া
কোন সময়
তোমাদের বিরুদ্ধে
সাক্ষ্য দেবে।
তোমরা তো
বরং মনে
করেছিলে,
তোমাদের বহু
সংখ্যক কাজকর্মের
খবর আল্লাহও
রাখেন না।
(২৩) তোমাদের
এই ধারণা
যা তোমরা
তোমাদের রব
সম্পর্কে করেছিলে
তোমাদের সর্বনাশ
করেছে এবং
এর বদৌলতেই
তোমরা ক্ষতিগ্রস্থ
হয়েছো। (২৪)
এ অবস্থায়
তারা ধৈর্য
ধারণ করুক
(বা না
করুক ) আগুনই
হবে তাদের
ঠিকানা। তারা
যদি প্রত্যাবর্তনের
সুযোগ চায়
তাহলে কোন
সুযোগ দেয়া
হবে না।
(২৫) আমি
তাদের ওপর
এমন সব
সঙ্গী চাপিয়ে
দিয়েছিলাম যারা
তাদেরকে সামনের
ও পেছনের
প্রতিটি জিনিস
(আগের ও
পরের পাপ
কাজসমূহ) সুদৃশ্য
করে দেখাতো।
অবশেষে তাদের
ওপরও আযাবের
সেই সিদ্ধান্ত
প্রযোজ্য হলো
যা তাদের
পূর্ববতী জিন
ও মানব
দলসমূহের ক্ষেত্রে
প্রয়োগ করা
হয়েছিলো৷ নিশ্চিতভাবেই
তারা ক্ষতিগ্রস্ত
ছিলো। (সুরা
হামীম আস
সাজদাহঃ ২০-২৫)
No comments:
Post a Comment