![]() |
মজার গল্প,ছোট গল্প,অনুবাদ গল্প,short story,mojar golpo,Short story,No Story,O. Henry,ও হেনরী |
প্রথমেই বলে রাখি এটা কোন সংবাদপত্রের গল্প নয়। এটা
পাওয়া যাবে না কোন ( সর্বজ্ঞ শহর সম্পাদক
(omniscient city editor), খামারবাড়ি থেকে আসা অসাধারণ সম্পাদক
বা কোন বিশেষ সংবাদপত্রে, এমনকি গল্পের বইয়ে। এই কথাগুলি বলে
রাখা যাতে সন্দিগ্ধচিত্ত পাঠক বইটি পড়ে ছুঁড়ে না ফেলেন।
আমি মর্নিং বিকন (Beacon) -এ কাজ করি জায়গা অনুপাতে মজুরি
হিসাবে। একজন মনে হয় বড় কাজকর্ম সেরে বড় টেবিলের এক পাশে একটুখানি জায়গা ফাকা রেখেছে
আমার জন্য। আমি সেখানেই কাজ করি। সারা দিন রাস্তায় ঘুরে বেড়াবার ফাকে ফাকে শহর
এর লোকজন গোপনে কি কথার্বাতা বলে, আমি লিখে রাখি সেগুলো। আয়ের
অঙ্কটা নিয়মিত নয়, তবে আশা করছি একদিন বেতন ভিত্তিক চাকরিটা
পাব।
একদিন ঘরে ঢুকে ট্রিপ (Tripp) আমার কাছে এল।
ট্রিপ কারিগরি বিভাগে কাজ করত। তবে কি করত জানি না। মনে হয় ছাপা সম্পর্কিত কাজ। কারণ
তার গায়ে ফটোগ্রাফির জিনিষপত্রের গন্ধ পেতাম, হাত দুটোয় এসিডের দাগ আর কাটা ছেড়া থাকত প্রায়ই। পঁচিশ বছর বয়স হলেও দেখতে
চল্লিশ বছরের মত। চেহারা ছিল বিবর্ণ, স্বাস্থ্যহীন, দুঃখী। ব্যবহার চাটুকার সুলভ। পঁচিশ সেন্ট থেকে এক ডলার পর্যন্ত যখন যা পেত
তাই ধার করত। তবে এক ডলারের বেশী নয়। যখনই আমার টেবিলে বসত তখনই দুটো হাত চেপে রাখত।
আজকে আমার কিছু প্রাপ্য হয়েছে। রবিবাসরীয় সম্পাদক
(Sunday editor) অনিচ্ছাসত্ত্বেও
আমার একটা গল্প মনোনীত করেছে আর তার দক্ষিণা পাঁচ ডলার। তাই মনোভাবটা আমার অন্যরকম
ছিল। শুরু করে দিয়েছিলাম লেখা ‘চন্দ্রলোকে ব্রুকলিন সেতু' কেমন লাগে।
স্বভাবতই বিরক্তির সঙ্গে বললাম--আরে ট্রিপ যে, কেমন চলছে। আজ তাকে কেমন
শোচনীয় তোষামুদে দেখাচ্ছিল। এরকম আগে দেখিনি। দারিদ্র্যের এমন এক অবস্থায় সে পৌঁছেছে।
যেখানে তার প্রতি করুণার মাত্রাটা বেশি হয়ে যায়। তখন মনে হয় তাড়িয়ে দিই।
চোখ পিটপিট করে হাত কচলাতে কচলাতে বলল—একটা ডলার হবে?
ক্ষুব্ধ হয়ে বললাম-হবে, হবে। একটা কেন পাচটি হবে। তবে বুড়ো এটফিসন-এর কাছ থেকে সেটা বাগাতে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছি। টাকাটা আমি জোগাড় করেছি,
একটা অভাব-একটা জরুরী ব্যাপার--মানে ঠিক পাঁচ ডলারের সঙ্কট মেটাবার জন্য।
ডলার হারানোর ভয়ে জোর দিয়ে কথাগুলো বললাম।
ট্রিপ বলল-আমি কোন ধার চাইতে আসিনি।
শুনে স্বস্তি পেলাম।
সে বলে যেতে লাগল—“আমি ভাবলাম যে একটা ভাল গল্পের
প্লট পেলে তুমি সেটা লুফে নেবে। সত্যি, একটা রগরগে গল্প তোমায় দিতে পারি তাতে এক কলম লেখা যাবে। অবশ্য গল্পের মাল
মশলা যোগাড় করতে দু এক ডলার খরচ করতে হবে। আমি নিজের জন্য কিছু চাই না।
খুশী হয়ে সম্পাদকীয় চালে কলম বাগিয়ে বললাম—গল্পটা কি?
ট্রিপ শুরু করল-“বলছি! একটা সুন্দরী
মেয়ের গল্প। শিশির ভেজা গোলাপ কলি শেওলায় ফোটা ভায়োলেট এর মত। এর আগে বিশ বছর লং
দ্বীপে ছিল, কিন্তু আগে কখনও নিউইয়র্ক
শহর দেখেনি। চৌত্রিশতম স্ট্রীটে দেখা হঠাৎ। তখন সবে পূবালি নদীর ফেরি থেকে নেমেছে।
রাস্তাতেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল কোথায় গেলে জর্জ ব্রাউনের (George Brown) দেখা পাবে।
আমাকে জিজ্ঞাসা করল জর্জ ব্রাউনের কথা। কি রকম মনে হচ্ছে?
তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম পরের সপ্তাহে ডড (Hiram Dodd) নামে এক চাষী
যুবককে সে বিয়ে করছে। কিন্তু মনে হয় জর্জ ব্রাউন তার যৌবনের কামনায় নায়ক হয়েই
আছে। জর্জ ভাগ্যের সন্ধানে চলে আসে শহরে। ও দিকে আডাও। মেয়েটির নাম আডা লোয়ারি (Ada Lowery)। একটা ঘোড়ার গাড়ি চেপে স্টেশনে পৌছাল ৬টা ৪৫য়ে শহরের ট্রেনটা ধরবে বলে। জর্জের
খোজ করল, কিন্তু জর্জ ততদিনে ফিরে গেছে।
বুঝতেই পারছ হাডসন-এর তীরবর্তী শহরটা কেমন, তাই তাকে একা রেখে আসি নি। তার
ভালটা দেখাও তো কর্তব্য।।
আমিই বা কি করতে পারি? আমার পকেট গড়ের মাঠ। মেয়েটারও পয়সা নেই। আমি আগে যেখানে
থাকতাম সেই বত্রিশতম স্ট্রীটে ওকে রেখে এসেছি। ম্যাকগিনিস বুড়ির বাড়ির ভাড়া দৈনিক
এক ডলার। বাড়িটা তোমায় দেখিয়ে দেব।
–এসব কি বলছ ট্রিপ? তুমি তো গল্প বলবে বললে? পুবালি নদীর
প্রতিটি নৌকায় তো কত মেয়েকে আনা নেওয়া করে।
ট্রিপের মুখের রেখাগুলো গভীর হল।
গম্ভীরভাবে বলল – তুমি কি বুঝতে পারছ না যে এটা থেকে
একটা ঝকঝকে গল্প হতে পারে। তোমার গল্পটা উতরোবে ভাল, এর জন্য
পনের ডলার তো পাবেই, চার ডলার খরচ হলে লাভ এগার ডলার।
আমি সন্দেহের সুরে প্রশ্ন করলাম, আমার চার ডলার খরচ কেন হবে?
ট্রিপ বলল – এক ডলার মিসেস ম্যাকগিনিসকে,
দু ডলার মেয়েটির বাড়ি ফেরার ভাড়া।
-চতুর্থ ডলারটি?
-এক ডলার আমার হুইস্কির দাম। ঠিক আছে?
রহস্যময় হাসি হেসে এমন ভাব করলাম যেন লিখতে শুরু করব।
কিন্তু লোকটাও নাছোড়বান্দা।
বেপরোয়াভাবে বলে উঠল - তুমি কি বুঝতে পারছ না যে মেয়েটাকে আজই বাড়িতে পাঠাতে হবে।
তার জন্য আমি কিছুই করতে পারছি না। তাই ভাবলাম এটা লিখলে তুমি কিছু টাকা পাবে। সে যাকগে
আজকে তাকে পাঠাতে হবে।
আর তখনই সেই কর্তব্যবোধ অনুভব করলাম। কেন এটা একজনের
উপরই পড়বে? আমি জানতাম সেদিন আমার টাকাটা
সাহায্যের জন্য খরচ হবে। রাগে গজ গজ করতে করতে ট্রিপের সঙ্গে বেরিয়ে এলাম।
আমাকে নিয়ে গেল ম্যাকগিনিস বুড়ির কাছে। ট্রিপ লাল
ইটের বাড়ির বেল বাজাল। তার মুখ দেখেই বোঝা গেল সে কী রকম ভয় পায়।
-আমাকে এক ডলার
দাও শীগগির। দরজাটা একটু ফাক করে সাদা চোখ, হলুদ মুখের ম্যাকগিনিস বুড়ি। ডলারটা দিতেই আমাদের ঢুকতে দেওয়া হল।
-সে বৈঠকখানাতেই আছে -- ম্যাকগিনিস বলল।
বৈঠকখানার ভাঙা শ্বেত পাথরের টেবিলের পাশে বসে একটা
সুন্দরী মেয়ে কাঁদছে, কাদলেও চোখ দুটিকে
উজ্জ্বল দেখাচ্ছে।
টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে আমার বন্ধু বলে পরিচয় দিয়ে
ট্রিপ বলতে লাগল - মিস লোয়ারি,
আমার বন্ধু মিঃ চামার্স তোমাকে
সেই কথাগুলিই বলবে যা আমি তোমাকে বলেছি। সে একজন প্রতিবেদক, আর
আমার চাইতে অনেক ভাল ভাবেই কথাগুলি বলতে পারবে। তাই তাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। সে অনেক
বিষয়ে জ্ঞানী। এখন তোমার কি করা উচিত সেটা বলে
দেবে।
চেয়ারে বসে ট্রিপের কথা শুনে আমি রেগে বললাম, “দেখ মিস লোয়ারি আমি তোমাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত তবে কিনা...ব্যাপারটা তো আমাকে ঠিকভাবে বলা হয়নি, তাই... আমি---
মুহুর্তের জন্য খুশী হয়ে মিস লোয়ারি বলল—ওঃ মানে সে রকম
কিছু ব্যাপার নয়। আমার পাঁচ বছর বয়সে একবার নিউইয়র্ক এসেছিলাম তারপর এই প্রথমবার।
কাজেই শহরটা সম্বন্ধে কোন ধারণা ছিল না। পথে মিঃ ট্রিপের কাছে আমার এক বন্ধুর খোজ করি
আর তিনি আমাকে এখানে অপেক্ষা করতে বলে গেলেন।
ট্রিপ বলল-শোন মিস্ লোয়ারি, তুমি মিঃ চামার্সকে (Chalmers) সব খুলে বল, সে ঠিক পথ বলে
দেবে।
মেয়েটির জবাব—তা তো বটেই। তবে বলবারমত কিছু নেই।
শুধু এটুকু বলা যায় আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হিরাম ডড-এর সঙ্গে আমার বিয়ে স্থির হয়ে আছে। সমুদ্রের ধারে,
হির-দশ একর জমি, আর একটা
খামার আছে। আজ সকালে সাদা ঘোড়ায় চড়ে স্টেশনে এসেছি। বাড়িতে বলে এসেছিলাম সুসি অ্যাডামস্
(Susie Adams) এর সঙ্গে থাকব। সেটা বানান গল্প। কিন্তু আমি ওসব পরোয়া করি না। তাই এখানে
চলে এলাম। পথে মিঃ ট্রিপ এর সঙ্গে দেখা হলে তাকে জিজ্ঞাসা ----।
ট্রিপ তাকে বাধা দিয়ে বলল—আচ্ছা, এই হিরাম ডড-কে খুব পছন্দ, না?
মানুষটাও ভাল তাই না?
মিস্ লোয়ারি-নিশ্চয়ই আমি তাকে পছন্দ করি। হি খুব ভাল মানুষ। আমাকে সে ভালবাসে।
এ কথাটা আমিও বলতে পারতাম। মিস আডাকে সকলেই ভালবাসবে।
মিস লোয়ারি—কিন্তু কাল রাতে জর্জের কথা মনে
এল আর আমিও--
মাথা নীচু করে কাঁদতে আরম্ভ করল।
মনে হল তাকে সান্ত্বনা দিই। কিন্তু আমি তো জর্জ নই
আবার হিরামও নই।
এক সময় কথা থামিয়ে সে সোজা হল, মুখে হাসি ফুটে উঠল। আবার গল্প শুরু করল।
-আমি খুব হতাশ হয়ে পড়েছি-কিন্তু এছাড়া আমার কিছু করার ছিল না। জর্জ ব্রাউন ও আমি বন্ধু
ছিলাম। তার বয়স ছিল আট আমার পাঁচ। চার বছর আগে সে গ্রীণবার্গ ছেড়ে চলে গেল তখন তার
বয়স উনিশ। জানিয়ে গেল সে পুলিশ হবে নয়তো রেলের প্রেসিডেন্ট অথবা ঐ রকম কিছু হবে।
তারপর আমার কাছে আসবে। সেই থেকে আর কোন খবর পাইনি। আমি তাকে ভালবাসতাম।।
মনে হল আর একটা অশ্রুর বন্যা হবে। কিন্তু ট্রিপ সেদিকে
না তাকিয়ে বলল---চালিয়ে যাও মিঃ চামার্স ।
ওকে বলে দাও কোন রাস্তায় যাবে।
আমি বুঝতে পারলাম ট্রিপ যা বলেছে সেটাই ঠিক। মেয়েটিকে
গ্রীণবার্গে পাঠাতে হবে।
-হিরামকে আমি ঘৃণা করি, জর্জকে অবজ্ঞা করি। কিন্তু একটা ভাব দেখালাম যাতে মনে হয় আমি
লংদ্বীপের প্রতিনিধি।
যতটা পারি সহানুভূতির সঙ্গে বললাম-মিস্ লোয়ারি, যাই বলুন জীবন বড় বিচিত্র।
যাদের আমরা প্রথম ভালবাসি কদাচিৎ তাদের বিয়ে করি। জীবনের আলোয় রঞ্জিত প্রথম প্রেম
প্রায়ই বাস্তবে রূপায়িত হয় না। কিন্তু জীবন তত বাস্তব ও স্বপ্ন দিয়ে গড়া। স্মৃতি
নিয়ে তো কেউ বেঁচে থাকতে পারে না। আচ্ছা, আমি কি প্রশ্ন করতে
পারি একটা ? আপনি কি মনে করেন মিঃ ডড-এর
সঙ্গে সুখী অর্থাৎ পরিতুষ্ট ও মিলিত জীবন কাটাতে পারবেন?
লোয়ারি জবাব- “ওঃ হি-বড় ভাল, তার সঙ্গে তাল রেখেই চলতে পারতাম।
সে কথা দিয়েছিল আমাকে একটা মোটর গাড়ি ও মোটর বোট দেবে। কিন্তু যাই হোক, তাকে বিয়ে করার দিনটা যখন এসে গেল তখন আমি একটা ইচ্ছার কথা প্রকাশ না করে
পারিনি। - জর্জের কথা ভেবেই। যেদিন সে চলে গেল সেদিন আমরা দুজনে
একটা ডাইমকে দু টুকরো করে কেটে নিজেদের কাছে রেখে দিলাম। প্রতিজ্ঞা করলাম পরস্পরের
প্রতি বিশ্বস্ত থাকব আর যতদিন না আবার দেখা হয় ততদিন নিজেদের কাছে ওটা রেখে দেব। আমার
টুকরোটা বাড়িতে রাখা আছে, এখন মনে হচ্ছে এখানে এসে ভুলে করেছি
বুঝতেই পারিনি জায়গাটা এত বড়।
ঈষৎ কর্কশ হেসে ট্রিপ যোগ দিল-“আহা গ্রামের ছেলেরা
যেমন শহরে এসে অনেক কিছু শিখে ফেলে তেমনি অনেক কিছু ভুলে যায়। আমার মনে হয় জর্জ গোল্লায়
গেছে নয়তো কোন মেয়ের পাল্লায় পড়েছে, অথবা মদ ও রেস খেলে সর্বশান্ত হয়েছে। তুমি মিঃ চামার্স এর কথা শুনে বাড়ী ফিরে যাও।”
এবার যা হোক কিছু একটা করতে হবে কারণ দুপুর হয়ে গেছে।
ধীরে ধীরে মেয়েটিকে বোঝাতে চেষ্টা করলাম।
মেয়েটি জানাল স্টেশনের কাছে ঘোড়াটাকে বেঁধে রেখে
এসেছে। ট্রিপ ও আমি বললাম, ঘোড়াটায় চেপে
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি চলে যেতে।
কিন্তু আমরাও তার সঙ্গী হলাম। খেয়া ঘাটে হাজির হয়ে
গ্রীণবর্গের টিকিট কাটলাম একটা, এক ডলার আশি
সেন্ট দিয়ে। বিশ সেন্ট দিয়ে কিনলাম লাল গোলাপ মিস লোয়ারিকে দেবার জন্য। নৌকায় উঠে
আমাদের দিকে রুমাল নাড়তে নাড়তে মেয়েটি অদৃশ্য হয়ে গেল। ট্রিপ ও আমি দাঁড়িয়ে রইলাম
মাটির পৃথিবীতে, জীবনের কঠিন কঠোর বাস্তবের ছায়ায় নিঃসঙ্গ হয়ে।
রূপ ও রোমাঞ্চও কেটে যেতে লাগল। ট্রিপকে যেন আরও বেশি
যন্ত্রনাদীর্ণ ঘূণ্য ও কুখ্যাত মনে হল।
ফ্যাসফ্যাসে গলায় ট্রিপ প্রশ্ন করল-এর থেকে একটা গল্প বার করে নিতে পারবে না, যে কোন একটা গল্প?
আমি বললাম--এক লাইনও নয়। একটা কাহিনীকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে পেরেছি সেটাই একমাত্র
পুরস্কার।
ট্রিপ-তোমার টাকাটা খরচ হয়ে গেল বলে দুঃখিত, আমি ভেবেছিলাম
এটা নিয়ে জমিয়ে গল্প লেখা যাবে।
খুশির ভাব ফোটাবার চেষ্টা করলাম। বললাম—চল, পরের গাড়িটা ধরে শহরে যেতে হবে।
ট্রিপ তার পুরাণো কোটের বোতাম খুলে পকেট থেকে একটা
জীর্ণ রুমাল বার করল। তখনই আমার চোখে পড়ল ভেস্ট-এ ঝোলান একটি সস্তা রূপোর পাতে মোড়া ঘড়ির চেন তাতে সেই রূপোর ডাইমের অধাংশ।
তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম- সে কি?
সে সাড়া দিল—হ্যা, আমিই জর্জ ব্রাউন ওরফে ট্রিপ। এটা দিয়ে আর কি হবে?
সঙ্গে সঙ্গে পকেট থেকে এক ডলার বের করে তার হাতে দিলাম।
আমার কাজকে নিশ্চয়ই সমর্থন করবেন না, এমন কেউ নিশ্চয়ই নেই।
No comments:
Post a Comment