![]() |
Tags: মাচ অ্যাডো অ্যাবাউট নাথিং বাংলা অনুবাদ,উইলিয়াম শেকসপিয়র,Much Ado About Nothing bangla translation, William Shakespeare |
মাচ অ্যাডো অ্যাবাউট নাথিং - উইলিয়াম শেকসপিয়র – বাংলা অনুবাদ - Much Ado About Nothing - William Shakespeare – Bangla
- - - - - - - - - - - - -
এক
নজরে
চরিত্রসমূহঃ
১।
বেনেডিক
– ডন
পেড্রোর
সাথী
- Benedick, a lord, and soldier from Padua; companion of Don Pedro
২।
বিয়াট্রিস
– লিওনাটোর
ভাতিজী
- Beatrice, niece of Leonato
৩।
ডন
পেড্রো
– অ্যারাগনের
রাজপুত্র
- Don Pedro, Prince of Aragon
৪।
ডন
জন
– ডন
পেড্রোর
ভাই
- Don John, "the Bastard Prince", brother of Don Pedro
৫।
ক্লডিও
– রাজপুত্র
ডন
পেড্রর
একজন
সাথী
- Claudio, of Florence; a count, companion of Don Pedro, friend to
Benedick
৬।
লিওনাতো
– মেসিনার
গভর্নর
- Leonato, governor of Messina; Hero's father
৭।
অ্যানটনিও
– লিওনাতোর
ভাই,
Antonio, brother of Leonato
৮।
বালথাজার
– ডন
পেড্রোর
সঙ্গীতশিল্পী
- Balthasar, attendant on Don Pedro, a singer
৯।
বোরাকিও
– ডন
জনের
অনুসারী
- Borachio, a follower of Don John
১০।
কনরেড
- ডন
জনের
অনুসারী
- Conrade, follower of Don John
১১।
ইনোজেন
– লিওনাতোর
স্ত্রী
– একটি
অদ্ভুত
চরিত্র
- Innogen, a 'ghost character' in early editions as Leonato's wife
১২।
হেরো
– লিওনাতোর
কন্যা
ও
নাটকের
নায়িকা
- Hero, daughter of Leonato
১৩।
মারগারেট
– হেরোর
সখি
- Margaret, waiting-gentlewoman attendant on Hero
১৪। উরসুলা - হেরোর
সখি
- Ursula, waiting-gentlewoman attendant on Hero
১৫।
একজন সেক্সটন - বোরাচিওর মামলার বিচারক - a
Sexton, the judge of the trial of Borachio
১৬। ফ্রিয়ার ফ্রান্সিস – যাজক - Friar
Francis, a priest
১৭। ডগবেরি - মেসিনার নাইট ওয়াচের কনস্টেবল - Dogberry, the
constable in charge of Messina's night watch
১৮। ভার্গাস - প্রধানবরা, ডগবেরির সঙ্গী - Verges, the
Headborough, Dogberry's partner
১৯। একজন বালক - বেনেডিকের ভৃত্য - a
Boy, serving Benedick
২০।
উপস্থিতি ও দূতগণ - Attendants
and Messengers
-
- - - - - - - - - - - - - - - -
একদিন
এক
পত্রবাহক
এল
মেসিনার
রাজ্যপাল
লিওনাতোর
(Leonato) কাছে।
রাজ্যপালকে (গভর্নর) অভিবাদন জানিয়ে সে
একটা
চিঠি
তুলে
দিল
তার
হাতে।
চিঠির
মূল
বক্তব্য,
সেদিন
রাতেই
আরাগনের
(Aragon) রাজকুমার
ডন
পেড্রো
(Don Pedro) তার
তিনজন
ঘনিষ্ঠ
সহচরকে
নিয়ে
এসে
অতিথি
হবেন
লিওনাতোর
প্রাসাদে।
চিঠিটা
পড়ার
পর
পত্রবাহককে
বললেন
রাজ্যপাল,
‘আমার
বিশ্বাস
আজকাল
ডন
পেড্রোর
খুব
কাছের
লোক
হয়ে
পড়েছেন
ফ্লোরেনসের
লর্ড
ক্লডিও
(Claudio, of Florence)।
তাকে
যথেষ্ট
বিশ্বাস
করেন
ডন
পেড্রো।
‘আপনি ঠিকই
বলেছেন,’
সায়
দিল
পত্রবাহক,
‘তবে
লর্ড
ক্লডিও
যে
সবদিক
দিয়ে
যোগ্য
আর
বিশ্বস্ত,
সে
বিষয়ে
কোনও
সন্দেহ
নেই।’
এমন
সময়
সেখানে
এল
লিওনাতোর
ভাইঝি
বিয়াট্রিস
(Beatrice, niece of Leonato)।
সংবাদবাহকের
কাছে
যে
জানতে
চাইল
যুদ্ধ
থেকে
সুস্থ
অবস্থায়
পাদুয়ার
লর্ড
বেনেডিক
(Benedick) ফিরে
এসেছেন
কিনা।
সংবাদবাহক
জানাল
যুদ্ধ
ফেরত
বেশ
সুস্থ
অবস্থায়
আছেন
বেনেডিক।
রাজ্যপাল
লিওনাহোর
প্রাসাদে
সঠিক
সময়ে
এসে
পৌছালেন
আরাগনের
রাজকুমার
ডন
পেড্রো
আর
তার
দুই
ঘনিষ্ঠ
সঙ্গী—
ক্লডিও
এবং
বেনেডিক।
ইতিপূর্বেই
তাদের
পরিচয়
হয়েছিল
লিওনাতোর
মেয়ে
হেরো
(Hero) আর
ভাইঝি
বিয়াট্রিসের
সঙ্গে।
এতদিন
বাদে
তাদের
দেখা
সাক্ষাত
হতেই
হাসি-তামাশয়
মেতে
উঠলেন
তারা।
বিয়াত্রিশ
ছিল
যেমন
দুষ্ট,
তেমনি
বাচাল।
বেনেডিকের সাথে
রসিকতা
করতে
গিয়ে
সে
তাকে
ব্যতিব্যস্ত
করে
তুলল।
এক
সময়
মাত্রা
হারিয়ে
‘ডন
পেড্রোর
ভাঁড়’
বলে
অভিহিত
করল
বেনেডিককে।
তিনি
খুবই
দুঃখ
পেলেন
বিয়াট্রিসের
এই
মন্তব্য
শুনে।
ওদিকে
আবার
লিওনাতোর
মেয়ে
হেরো
ছিল
বিয়াট্রিসের
ঠিক
বিপরীত।
সে
যেমন
নম্র
ও
ভদ্র,
তেমনি
বিনয়ী।
খুব
কম
বয়সে
তাকে
দেখেছেন
লর্ড
ক্লডিও।
এই
কয়েক
বছরে
সে
বেশ
বড়ো
হয়ে
গেছে।
এখন
সে
একজন
পূর্ণ
যুবতি।
এতক্ষণ
ধরে
রাজকুমার
ডন
পেড্রো
বেশ
মজার
সাথে
উপভোগ
করছিলেন
রসিকতার
ছলে
বিয়াট্রিস
আর
বেনেডিকের
কথা-কাটাকাটি।
তিনি
ফিসফিস
করে
লিওনাতোকে
বললেন,
ওদের
মধ্যে
বেশ
আদা-কাচকলার
সম্পর্ক
গড়ে
উঠেছে
দেখছি।
এবার
ওদের
বিয়েটা
দিয়ে
দিলেই
হয়।
ওদিকে
ক্লডিওর
বেশ
মনে
ধরেছে
লিওনাতোর
মেয়ে
হেরোকে।
সে
কথা
জানার
পর
রাজকুমার
পেড্রো
লিওনাতোর
কাছে
জানতে
চাইলেন
তিনি
তাঁর
মেয়ে
হেরোর
সাথে
ক্লডিওর
বিবাহ
দিতে
রাজি
কিনা।
রাজকুমার
কথা
শুনে
লিওনাতো
সানন্দে
জানালেন
যে
তিনি
এতে
রাজি
আছেন।
মেয়েকে
জিজ্ঞেস
করে
জানতে
পারলেন
এতে
তার
কোনও
আপত্তি
নেই।
এবার
রাজকুমার
লিওনাতো-কে
বললেন
বিবাহের
দিন
ঠিক
করতে।
রাজকুমার
পেড্রো
এক
মজার
পরিকল্পনা
করলেন
যাতে
লিওনাতোর
বাচাল
ভাইঝি
বিয়াট্রিস
আর
বেনেডিক পরস্পরের
প্রেমে
পড়তে
পারে।
হেরোও
খুব
খুশি
হল
যখন
সে
শুনল
রাজকুমার
পেড্রো
বিবাহ
দিতে
চান
বেনেডিক
আর
বিয়াট্রিসের।
সে
জানাল
এ
প্রস্তাবে
সে
রাজি
আছে।
লিওনাতোর
প্রাসাদ-সংলগ্ন
বাগানে
এক
গাছের
গুড়িতে
ঠেস
দিয়ে
আপন
মনে
বই
পড়ছিল
বেনেডিক।
তার
নজর
এড়িয়ে
রাজকুমার
পেড্রো
আর
ক্লডিও
গিয়ে
দাঁড়ালেন
তার
পেছনে
সেই
গাছের
গুঁড়ির
আড়ালে।
তাঁরা
এমনভাবে
কথা-বার্তা
বলতে
লাগলেন
যা
শুনে
মনে
হবে
বিয়াট্রিস
সত্যিই
ভালোবাসে
বেনেডিককে,
তার
প্রেমে
পড়ার
জন্য
সে
ব্যাকুল
হয়ে
উঠেছে।
রাজকুমারের
এ
পরিকল্পনায়
কাজ
হল।
বেনেডিকের
মনেও
প্রশ্ন
জাগল
বিয়াট্রিস
সত্যিই
তাকে
ভালোবাসে
কিনা।
ওদিকে
আবার
বিয়াট্রিসের
মনে
বেনেডিকের
প্রতি
ভালোবাসা
জাগিয়ে
তুলতে
একই
পরিকল্পনার
বাস্তব
রূপ
দিল
হেরো!
বিয়াট্রিসকে
বাগানে
ডেকে
এনে
আড়াল
থেকে
তাকে
শুনিয়ে
শুনিয়ে
হেরো
তার
দুই-সখী
উরসুলা
(Ursula) আর
মার্গারেটকে
(Margaret) বলতে
লাগল
বিয়াট্রিসকে
কত
ভালোবাসেন
বেনেডিক।
এ
কথা
শুনে
ধাঁধার
মধ্যে
পড়ে
গেল
বিয়াট্রিস।
বেনেডিকের
প্রতি
প্রগাঢ়
ভালোবাসা
জন্মাল
তার
মনে।
ক্রমেই
এগিয়ে
আসছিল
হেয়োর
বিবাহের
দিন।
কিন্তু
বিবাহের
আগেই
তার
জীবনে
ঘটে
গেল
এক
দুর্ঘটনা।
একজন
জঘন্য
চরিত্রের
মানুষ
ডন
পেড্রোর
সৎ
ভাই
জন
ডন
(Don John)! ডন
সব
সময়
ঘৃণা
করে
এসেছে
ডন
পেড্রোকে
– সর্বদা
চেষ্টা
করেছে
তার
ক্ষতি
করার।
ডন
পেড্রোর
এত
উন্নতি
আর
সুখ
সমৃদ্ধি
দেখে
হিংসায়
জ্বলে
মরে
সে।
তাই
তার
কুকর্মের
সহচর
বোরাকিওকে
(Borachio) নিয়ে
সৎ
ভাই
জন
ডনও
এসে
জুটেছে
মেসিনায়।
জন
ডনের
মাথায়
এক
কুবুদ্ধি
চাপল।
যখন
সে
শুনল
মেসিনার
রাজ্যপাল
লিওনাতোর
মেয়ে
হেরোর
সাথে
বিবাহ
ঠিক
হয়েছে
ক্লডিওর।
বোরাকিওর
সাথে
পরামর্শ
করে
জন
ঠিক
করল
এ
বিবাহ
ভেঙে
দেবে।
সেই
মতো
বোরাকিও
যেচে
আলাপ
করল
মার্গারেটের
সঙ্গে।
তার
মুখে
সস্তা
প্রেমের
আলাপ
শুনে
আহ্লাদে
আটখানা
হয়ে
গেল
মার্গারেট।
জনের
নির্দেশ
অনুযায়ী
সে
মার্গারেটকে
বলল
বিবাহের
আগের
রাতে
সে
যেন
হেরোর
পোশাক
পরে
তার
জানালার
সামনে
এসে
দাঁড়ায়।
তখনও
পর্যন্ত
বোরাকিওর
কুমতলব
বুঝে
উঠতে
পারেনি
মার্গারেট।
তাই
সরল
বিশ্বাসে
বিবাহের
আগের
রাতে
হেরোর
পোশাক
পরে
সে
এসে
দাঁড়াল
তার
জানালার
সামনে।
তাকে
দেখেই
বোরাচিও
জোর
গলায়
প্রেমালাপ
শুরু
করে
দিল
তার
সাথে।
এ
দৃশ্য
দেখে
জনও
বুঝতে
পারল
তার
মতলব
হাসিল
হবার
পথে।
সে
ফিরে
গিয়ে
ডন
পেড্রো
আর
তার
সঙ্গীদের
বলল,
হেরোর
স্বভাব-চরিত্র
মোটেও
ভালো
নয়।
কিছু
আগেই
সে
জানালায়
দাঁড়িয়ে
বোরাকিওর
সাথে
প্রেম
করছিল।
ডন
পেড্রো
প্রথমে
বিশ্বাস
করতে
চায়নি
জনের
কথা।
তখন
সে
তাদের
তিনজনকে
ঘটনাস্থলে
নিয়ে
এল।
তাদের
আসতে
দেখেই
বোরাকিও
আরও
জোরে
প্রেমালাপ
শুরু
করে
দিল
মার্গারেটের
সাথে।
রাতের
আবছা
আলোয়
হেরোর
পোশাক
পরা
মার্গারেটকে
দেখে
তারা
চিনতে
পারল
না।
তারা
ধরে
নিল
জানালার
সামনে
দাঁড়িয়ে
হেরোই
প্রেমালাপ
করেছে
বোরাকিওর
সাথে।
ডন
পেড্রো
এবার
নিঃসন্দেহ
হল
যে
হেরোর
স্বভাব-চরিত্র
ভালো
নয়।
তার
দুই
সঙ্গী
ক্লডিও
এবং
বেনেডিক
সিদ্ধান্ত
নিল
বিবাহের
আগে
গির্জায়
সবার
সামনে
দাঁড়িয়ে
এ
কথা
ফাঁস
করে
দিয়ে
হেরোর
উপযুক্ত
শাস্তির
ব্যবস্থা
করবে।
পরদিন
সকালে
ক্লডিওকে
বরের
সাজে
সাজিয়ে
ডন
পেড্রো
আর
বেনেডিক
তাকে
নিয়ে
এলেন
গির্জায়।
খানিক
পরেই
সেখানে
এলেন
কনের
সাজে
সজ্জিত
হেরো,
তার
সাথে
বাবা
লিওনাতো
এবং
বিয়াট্রিস।
পাদ্রি
বিবাহের
মন্ত্র
পড়াতে
যেতেই
তাকে
বাধা
দিয়ে
ক্লডিও
বললেন
এ
বিবাহ
করা
তার
পক্ষে
অসম্ভব
কারণ
পাত্রীর
স্বভাব-চরিত্র
মোটেই
ভালো
নয়।
লিওনাতো
জানতে
চাইলেন
বিবাহের
সময়
হঠাৎ
পাত্র
কেন
তার
মেয়ের
স্বভাব-চরিত্র
নিয়ে
সন্দেহ
প্রকাশ
করছে।
ডন
পেড্রো
জবাব
দিলেন,
‘মাননীয়
রাজ্যপাল,
কাল
রাতে
আপনার
মেয়ে
জানালায়
দাঁড়িয়ে
এক
অজানা-অচেনা
পুরুষের
সাথে
প্রেমালাপ
করছিল।
আমরা
তিনজনেই
প্রত্যক্ষ
করেছি
ঘটনাটা।
এবার
আপনিই
বলুন,
এর
পরেও
কি
এ
বিবাহতে
সায়
দেওয়া
সম্ভব?’
ডন
পেড্রোর
কথা
শেষ
হতে
না
হতেই
হাহাকার
করে
হেরো
বলে
ওঠে,
‘ঈশ্বর
জানেন,
সম্পূর্ণ
নির্দোষ
আমি’
এই
বলেই
জ্ঞান
হারিয়ে
মাটিতে
লুটিয়ে
পড়ল
সে।
সাথে
সাথেই
বিয়াট্রিস
ছুটে
এস
অচেতন
হেয়োর
মাথাটা
কোলে
তুলে
নিল।
বুকফাটা
কান্নায়
ভেঙে
পড়ে
সে
বলল,
'হায়!
হেরো
আর
বেঁচে
নেই।
এ
অসম্মান
সইতে
না
পেরে
সে
প্রাণত্যাগ
করেছে।’
এর
আগেই
ক্লডিওকে
সাথে
নিয়ে
গির্জা
ছেড়ে
চলে
গেছে
ডন
পেড্রো।
ভেতরে
একা
রয়েছেন
বেনেডিক। প্রিয়তমা
বিয়াট্রিসের
পায়ের
কাছে
দাঁড়িয়ে
অচেতন
হেরোর
সেবা-শুশ্রুষায়
সাহায্য
করছেন
বিয়াট্রিসকে।
একই
সাথে
বড়ো
হয়েছে
বিয়াট্রিস
আর
হেরো।
কাজেই
হেরোর
নাড়ি-নক্ষত্র
সে
ভালোই
জানে।
ডন
পেড্রো
আর
ক্লডিওর
আনা
অভিযোগ
যে
সম্পূর্ণ
মিথ্যে
সে
বিষয়ে
নিঃসন্দেহ
বিয়াট্রিস।
হয়
ভুল
বোঝাবুঝি
নতুবা
কারও
চক্রান্তের
শিকার
হয়েছে
হেরো-এ
কথাই
বিশ্বাস
করে
বিয়াট্রিস।
বিয়াট্রিসকে
বললেন
বেনেডিক, ‘এখন
কেমন
আছে
হেরো?’
‘আপনি
তো
নিজের
চোখেই
দেখছেন
ওর
এখনও
জ্ঞান
ফেরেনি,’
জবাব
দিল
বিয়াট্রিস,
‘আমার
তো
মনে
হচ্ছে
এই
অপমানের
পর
ওর
জ্ঞান
আর
ফিরে
আসবে
না।’
উত্তেজনা
রোধ
করতে
না
পেরে
বেনেডিক বললেন,
কী
বলছ
তুমি?
হেরো
কি
মারা
গেছে?
গম্ভীর
স্বরে
বলল
বিয়াট্রিস,
হ্যা,
জ্ঞান
হারাবার
সাথে
সাথেই
মারা
গেছে
ও।
হেরোর
মৃত্যু
হয়েছে
শুনে
কান্নায়
ভেঙে
পড়লেন
তার
বাবা
রাজ্যপাল
লিওনাতো।
আবার
সেই
সাথে
তার
মনে
হল
এমন
দুশ্চরিত্রা
মেয়ে
বেঁচে
থাকার
চেয়ে
তার
মৃত্যু
ঢের
ভালো।
তার
মনে
হল
এ
ঘটনার
পর
তিনি
সমাজে
কীভাবে
মুখ
দেখাবেন।
পাদ্রির
হাত
ধরে
শিশুর
মতো
কেঁদে
ফেলে
তিনি
বললেন,
আপনিই
বলুন
ফাদার
এবার
আমি
কী
করব?
কর্মজীবনে
অনেক
ছেলে-মেয়ের
বিবাহ
দিয়েছেন
পাদ্রি।
তাই
মানুষ
চেনার
ক্ষমতাটা
অন্যের
চেয়ে
বেশি।
রাজকুমার
পেড্রো
আর
ক্লডিও
যখন
মেয়েটির
বিরুদ্ধে
বদনাম
করছিলেন,
সে
সময়
তিনি
মেয়েটির
মুখের
দিকে
তাকিয়েছিলেন।
মেয়েটির
চাউনি
আর
হাবভাব
দেখে
তিনি
তখনই
বুঝেছিলেন
মেয়েটি
নির্দোষ।
অযথা
অভিযোগ
করা
হয়েছে
তার
নামে।
পাদ্রি
বললেন,
মাননীয়
লিওনাতো!
আমি
শপথ
করে
বলতে
পারি
আপনার
মেয়ে
সম্পূর্ণ
নির্দোষ।
কোনও
অন্যায়
করেনি
সে।
দুর্ভাগ্যবশত
সে
কোনও
ভুলের
শিকার
হয়েছে।
বিয়াট্রিস
আর
বেনেডিকের
সেবাযত্নে
ধীরে
ধীরে
জ্ঞান
ফিরে
এল
হেরোর
চোখ
মেলেই
সে
সামনে
দেখতে
পেল
তার
বাবাকে।
হেরো
বললেন,
বাবা!
যে
অভিযোগের
দরুন
ক্লডিও
আমার
বিবাহ
ভেঙে
দিয়েছেন,
তা
সত্য
প্রমাণিত
হলে
তুমি
আমায়
মৃত্যুদণ্ড
দিও।
আমি
হাসিমুখে
তা
বরণ
করে
নেব।
পাদ্রি
বললেন,
মাননীয়
লিওনাতো!
আমি
আবারও
বলছি
আপনার
মেয়ে
সম্পর্কে
নিশ্চয়ই
একটা
ভুল
ধারণা
গড়ে
উঠেছে
পেড্রো
আর
ক্লডিওর
মনে।
এখন
দুঃখে
এত
ভেঙে
পড়লে
চলবে
না।
যে
করেই
হোক
তাদের
এই
ভুল
ভেঙে
দিতে
হবে।
অসহায়ভাবে
লিওনাতো
বললেন,
কিন্তু
ফাদার,
কী
করে
তা
সম্ভব
হবে?
‘তা
হলে
শুনুন
মাননীয়
লিওনাতো,’
পাদ্রি
বললেন,
‘আপনি
রাজকুমার
পেড্রো
আর
ক্লডিওর কাছে
লোক
পাঠিয়ে
জানান
যে
আপনার
মেয়ের
জ্ঞান
ফেরেনি-
অজ্ঞান
অবস্থাতেই
সে
মারা
গেছে।
এবার
আপনি
কয়েক
দিন
শোকের
কালো
পোশাক
পরে
থাকুন
আর
মেয়ের
জন্য
একটা
স্মৃতিসৌধ
বানিয়ে
ফেলুন।
যাদের
হীন
আচরণের
জন্য
এই
ঘটনা
ঘটেছে,
আমার
বিশ্বাস
হেরোর
মৃত্যু-সংবাদে
তাদের
মানসিক
পরিবর্তন
আসবে।
আর
ক্লডিও
যদি
সত্যিই
হেরোকে
ভালোবেসে
থাকেন,
তাহলে
তিনি
তার
জন্য
শোক
প্রকাশ
করবেন।
তাছাড়া
হেরো
যদি
কোনও
চক্রান্তের
শিকার
হয়েও
থাকে,
তাহলে
আমার
বিশ্বাস
এর
ফলেই
সে
রহস্য
উদ্ঘাটিত
হবে।’
বেনেডিক লিওনাতোকে
বললেন,
মাননীয়
পাদ্রি
যেমন
বলছেন
আপনি
সেই
ভাবে
কাজ
করুন।
আমি
কথা
দিচ্ছি
এ
সবের
বিন্দুবিসর্গও
জানাব
না
পেড্রো
আর
ক্লডিওকে।
এমনকি
এও
বলব
না
যে
হেরো
বেঁচে
আছে।
এভাবে
হেরোর
বিবাহ
ভেঙে
যাবার
সুবাদে
পরস্পরের
খুব
কাছাকাছি
চলে
এল
বিয়াট্রিস
আর
বেনেডিক।
বিয়াট্রিস
বেনেডিককে
বলল
তিনি
যেন
ক্লডিওকে
অসি
(তরবারি)
যুদ্ধের
আহ্বান
করেন।
ওদিকে
একমাত্র
মেয়ের
বিবাহ
ভেঙে
যাবার
ক্ষোভ
ভুলতে
এই
কাণ্ডের
জন্য
দায়ী
রাজকুমার
পেড্রো
ও
ক্লডিওকে অসিযুদ্ধে
আহ্বান
জানালেন
রাজ্যপাল
লিওনাতো।
শেষ
পর্যন্ত
ব্যাপারটা
অবশ্য
অতদূর
পর্যন্ত
এগুলো
না।
তার
আগেই
ঘটে
গেল
এক
অভাবনীয়
ঘটনা।
বিবাহের
আগের
রাতে
মার্গারেটের
সাথে
প্রেমের
অভিনয়
করে
লিওনাতোর
প্রাসাদের
প্রাচীর
টপকে
যাবার
সময়
রক্ষীদের
হাতে
ধরা
পড়ে
ডনের
অনুচর
বোরাকিও।
রক্ষীরা
তাকে
কারাগারে
নিয়ে
গিয়ে
বেজায়
মারধর
করে।
মারের
চোটে
সে
ফাস
করে
দেয়
তার
মনিব
জন
ডনের
ষড়যন্ত্রের
কথা।
বোরাকিওর
মুখে
সব
কথা
শুনে
খুবই
অনুতপ্ত
হলেন
রাজকুমার
ডন
পেড্রো
ও
ক্লডিও। তারা
উভয়ে
মাফ
চেয়ে
নিলেন
রাজ্যপাল
লিওনাতোর
কাছে।
সেই
সাথে
ক্লড়িও বললেন
তিনি
তার
অপরাধের
প্রায়শ্চিত্ত
করতে
চান।
তাই
শুনে
লিওনাতো
বললেন
প্রায়শ্চিত্ত
করার
একমাত্র
উপায়
হল
তার
ভাইঝিকে
নিজের
স্ত্রী
হিসেবে
গ্রহণ
করা।
সে
প্রস্তাবে
এক
কথায়
রাজি
হয়ে
গেলেন
ক্লডিও।
এরই
মাঝে
পাদ্রির
নির্দেশ
মেনে
হেরোর
জন্য
এক
স্মৃতিসৌধ
তৈরি
করেছেন
লিওনাতো।
বিবাহের
আগের
রাতে
সেখানে
এসে
চোখের
জল
ফেলে
কাটালেন
ক্লডিও।।
পরদিন
আবার
পাত্র
সেজে
রাজকুমার
ডন
পেড্রো
আর
বেনেডিককে সাথে
নিয়ে
গির্জায়
এলেন
ক্লডিও।
খানিক
বাদে
বিয়ের
কনেকে
নিয়ে
সেখানে
এলেন
লিওনাতে।
সবাই
দেখল
কনের
মুখ
রেশমি
ওড়নায়
ঢাকা।
পাদ্রি বিবাহের মন্ত্র পড়া শুরু করতেই কনে একটানে সরিয়ে দিল তার মুখের ঘোমটা। উপস্থিত সবাই আশ্চর্য হয়ে দেখল কনে আর কেউ নয়, স্বয়ং হেরো। হেরোকে ফিরে পেয়ে আনন্দে উদ্বেল হয়ে উঠল ক্লডিওর মন। হেরোর সাথে ক্লডিওর বিবাহের পর লিওনাতো তার ভাইঝি বিয়াট্রিসের বিবাহ দিলেন বেনেডিকের সাথে।
Tags: মাচ অ্যাডো অ্যাবাউট নাথিং বাংলা অনুবাদ,উইলিয়াম শেকসপিয়র,Much Ado About Nothing bangla translation, William Shakespeare
No comments:
Post a Comment